একজন প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারীর প্রধানত দুইটি সমস্যা রয়েছেঃ
১। খামার ব্যবস্থাপনায় সঠিক দক্ষতা এবং
২। খামারীর অর্থনৈতিক সহায়তা।
মানু ফার্মস দীর্ঘ সময় ধরে প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারীদের এই দুইটি সমস্যা সমাধান করে খামারীদের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। মানু ফার্মস এর উদ্ভাবিত পোল্ট্রি ম্যানেজার অ্যাপের মাধ্যমে একজন পোল্ট্রি খামারী তার দৈনন্দিন কাজ-কর্ম, খাবার, ডিম সংগ্রহ, ঔষধ, টিকা, হিসাব-নিকাশ সহ যাবতিয় কাজ-কর্ম পরিচালনা করতে পারে। যেমনঃ বাচ্চার বয়স অনুযায়ী কোন দিন কত টুকু খাবার লাগবে, কোন দিনে কোন টিকা দিতে হবে, ডিম সংগ্রহ, প্রতিদিনের ক্রয়-বিক্রয় সহ সব কিছুই পল্ট্রি ম্যানেজার অ্যাপের মাধ্যমে জানতে ও করতে পারে এবং খামারী নিয়মিত নোটিফিকেশন পায় কখন কি করতে হবে, ফলে ভুলে যাবার কোন সম্ভাবনা থাকে না। এই অ্যাপের মাধ্যমে ডাক্তার সেবাও নিতে পারে, মুরগীর জন্য ২৪ ঘন্টা টেলি-মেডিশিন সেবা।
এতো গেলো অ্যাপের কাজ, মানু ফার্মের অ্যাপের সাথে রয়েছে আইও টিডিভাইজ, এই ডিভাইজটি খামারের পরিবেশগত দিক নিয়ন্ত্রন করে, খামারী দুর থেকেও খামার পরিচালনা করতে পারে। এই ডিভাইজটি খামারে স্থাপন করলে - খামারের বর্তমান তাপমাত্রা, আদ্রতা, অ্যামোনিয়া গ্যাসের পারিমান এবং খামারে আলোর পর্যাপ্ততা সবকিছুই তার মোবাইল ফোনে দেখতে পাই, শুধু তাই নয় মোবাইল ফোন দিয়ে তা নিয়ন্ত্রনও করতে পারে। যেমন মোবাইল ফোন দিয়েই ফ্যান, লাইট, ঝর্ণা বা স্প্রিং কলার অন-অফ করতে পারে, যে কোন সময়, যে কোন যায়গা থেকে।
এই অ্যাপ এবং ডিভাইজের মাধ্যমে একজন প্রান্তিক খামারী তার খামার ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বৃদ্ধি করে সঠিক ভাবে আধুনিক খামারে পরিনত করে হিসাব-নিকাশের খাতায় লাভের অংশ দেখতে পারে।
মানু ফর্মস খামারীদের অর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য দুইটি ব্যাংকের (ব্রাক ব্যাংক এবং মিউচুয়াল ট্র্রাস্ট ব্যাংক) সাথে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করে, এই চুক্তির মাধ্যমে মানু ফার্মসের পোল্ট্রি ম্যানেজার অ্যাপ ব্যবহারকারীরা বিনা জামানতে ১ লক্ষ টাকা হতে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন সুবিধা পাবে, ফলে খামারী নিজেই নিজের পছন্দমত বাচ্চা, খাবার, ঔষধ পত্র কিনে নিশ্চিন্তে আধুনিক ভাবে খামার ব্যাবসা করবে।